ভালবাসা ও ঘৃণার কবিতা

বুঝি না আসলে কি চাও তুমি? মাঝে মাঝে মনে হয় প্রেমের বিশাল ময়দান ঘুরে ঘুরে দাঙ্গা বাঁধিয়ে ফিরে আসো তুমি কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চাও? আরো কতো ট্রয় নগরী ধ্বংস করলে তোমার সুখ মেটে? আরো কতো নিষ্পাপ মানুষের রক্ত পান করলে তোমার তৃষ্ণা মেটে? ঘরে কি তুমি আদৌ ফিরবে? নাকি পথকেই বেছে নিয়েছো তাদের মতো! কিছু নিরীহ মানুষগুলোকে মৃত্যুর দুয়ারে ঠেলে দিয়ে পাতিহাসের মতো নিশ্চিন্তে জলে দাগ কেটে চলেছো তুমি যেগুলোকে সুখ ভাবছো বিষাক্ত হয়ে উঠবে শীঘ্রই রুদ্ধ করতে তোমার পথ ধেয়ে আসছে ওরা  আলোর মিছিল নিয়ে পালাবে কোথায় তুমি? ২২ জুন, ২০১৩

ভালোবাসা তোমার চোখের কোনে জমে থাকা দৃষ্টিতে ভুলে যাই সব আমার অস্তিত্ব আর ক্লান্তি ঘুরেফিরে তোমার মনেই আটকে পড়ি দাগী আসামীর মতো এভাবে যাবজ্জীবন হলে মন্দ কি ! কোনো জামিনদার আসলে তাকে ভাগাবো নিশ্চিত কঠিন অপমানে তাকে দূর দুর করে তাড়াবো আমাদের স্বপ্ন আর ভবিষ্যতের আলোয় তাকে ঝলসে দেবো ঠিক তো ! আচ্ছা, ভালবাসলে এত ঈর্ষা হয় কেন? স্বাভাবিক বিষয়গুলোও সহ্য হয় না ! কেউ তোমার দিকে তাকালে কি মনে হয় জানো? দৃষ্টিতে খুন করতে ইচ্ছা করে কেউ তোমাকে স্পর্শ করলে ভাবি গরম তাওয়ায় তাকে রুটির মতো ফুলাই এত ভালবাসি কেন জানি না শুধু জানি; ভালবাসি চিঠি লেখো না কেন? খুব ব্যস্ত? খোলাচিঠি আর দাও না কেন? তোমার বানান ভুলে ভরা চিঠিও ভাল লাগে এলোমেলো লেখা আর কাটাকাটি তোমার ঐ কাটাকাটিতেও ভালবাসা খুঁজি পাগলের মতো।

আরেকবার তোমার দৃষ্টিতে মন হারাতে চাই মনের আঙিনায় কানামাছি-ধরাধরি আর হৃদয়ের গোপন কোঠায় ঘাপটি মেরে থাকতে চাই । এক কাপে চা'য়ে চুমুক দিয়ে জীবনের বাস্তবতা আঁকতে চাই । তোমার আঁচলে মুখ ঢেকে জীবনের দু:খগুলোকে মুছে ফেলতে চাই। তোমার হাতে হাত আর চোখে চোখ রেখে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করতে চাই ।

নিজেকে এখন বিলি করে বেড়াই চিঠির মতো এ ঘর থেকে ও ঘরে। কামনার ঝাল মেটাই আমি এখন, বিবেকের আদালতকে দিয়েছি অনন্তকালের ছুটি পাপের দংশনেও নেই কোনো ভয় বিলিয়ে দেবো সব নিংড়ানো সুখ এটাই তো চেয়েছিলে ! সত্যি বলছি, এখন বেশ আছি আমি এবক্ষ থেকে ওবক্ষে আমি ছুটে বেড়াই অন্ধকার এখন বেশি ভাল লাগে নতুন নতুন শরীরের গন্ধে বুদ হয়ে পড়ে থাকি মাতালের মতো। বিশ্বাস করো, এই জীবনকে নিয়ে আগে ভুল বুঝতাম কঠিন শাসনে বেড়ে ওঠা এই শরীরের যত্নে বিভোর ছিলাম মনের মধ্যেই তৈরী করেছিলাম অদৃশ্য কারাগার বিচারক হিসাবে ছিলো আমার নিরপেক্ষ বিবেক। বিবেকের আদালতে আমি জয়ী হয়েও পরাজিতকে বরণ করে নিতাম তোমাকে হারানোর ভয়ে কি পাগল ছিলাম তোমার প্রেমে ! হয়তো আমি আর ফিরবো না ঘরে অসংখ্য অসুখের পায়রাগুলোকে সঙ্গী করে ছুটে বেড়াবো দেশ থেকে দেশান্তরে যাচ্ছেতাই স্বাধীন জীবনের তীব্র সুখের সন্ধানে আমিহীন সুখে থাকার যে স্বপ্নগুলো এতোদিন বুকের গভীরে লালন করেছিলে সেই সুপ্ত বীজগুলোর পরিচর্যা করো প্রতিদিন খাঁচায় থাকা তোমার বন্দী জীবনকে দিলাম আমৃত্যু ছুটি। মধ্যবাড্ডা, ঢাকা-১২১২ ১ ফাল্গুন, ১৪২৪

    চিরবিদায় প্রিয়তমা কঠিন অসুখ হয়েছে প্রিয়তমা তোমার মৃত্যুকামনাকে দিতে পারো ছুটি তোমার স্বপ্নপূরণে আমার শেষ নি:শ্বাসটুকুই আছে বাকি সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মতো তোমার মনোকষ্টগুলো সুনামির মতো উজাড় করো এবার ঝেড়ে ফেলো আমার প্রতি; তোমার যতো বিশ্বাস আর সেই ভালোবাসা। তোমার মনে আছে প্রিয়তমা? কৃষ্ণচুড়ার ফুল দিয়েছিলাম তোমার খোপায়? মাইনাস ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে তোমাকে দিয়েছিলাম উষ্ণতা বিশাল মাঠে সবার সামনে সাহস করে দিয়েছিলাম তোমার গোলাপী ওষ্ঠে সুদীর্ঘ চুম্বন ! হাজারো গান শুনিয়েছি কানে কানে রিকশায় ! বিশেষ দিবসে তোমাকে দেওয়া চিঠিগুলো কি এখনো মনে ভাসে? হেমন্তের সকালে হালকা শিশিরে তোমার পা কি এখনো ভিজে? তুমিহীন সুখে থাকা আমার কাছে তো দিব্যি মরণ ! আয়োজন করে মৃত্যুর কি স্বাদ নিবো ! তবুও শরীরের মৃত্যুকে দেখে যেও একটিবার। জানি, তুমি আসবে না আর। তবুও খুঁজে ফিরি বারবার; চিরবিদায় প্রিয়তমা এবার।  

পতত্রী, বলতে পারি নি সেদিন যখন তোমায় দেখেছিলাম প্রথম নির্লোভ প্রেমিকের মতো ছুতে চেয়েছিলাম তোমার গাল কিন্তু বিশ্বাস করো; ভয় হয়েছিল ভয় হয়েছিল যদি তুমি হাতটা সরিয়ে দাও ! যদি তোমার চোখ রাঙানীতে আমার কোমল হৃদয়টা চিরে যায় আর যখন লেকের ধারে দুজনে বসেছিলাম পাশাপাশি আশেপাশের যুগলদের হাত ধরাধরি আর ভালবাসা বিনময় দেখে হিংসে হয় নি; কেন জানো? তোমাকে স্পর্শ না করেও ভালবাসার বেতারে আমার সমস্ত ভালবাসা প্রচার করেছিলাম আর তুমি নিরব শ্রোতার মতোই শুনেছিলে ভালবাসার কাঙ্গালকে ভিক্ষুকের বেশে দেখে তোমার মন কি খুব কেঁদেছিল সেদিন? এজন্যই কি বলেছিলে-"তোমার হাতটা ধরতে পারি"? হঠাৎ মনে হয়েছিল স্বপ্ন, কিন্তু বাস্তবে দেখি আমার হাতে হাত, চোখে চোখ মনে হচ্ছিল পুরো পৃথিবীটাই আমার আর সব স্বপ্নগুলো বাস্তব চোখের সামনে দিয়ে উড়ে যাওয়া পাখীগুলোও আমাদের মতো নীড় খুঁজে পাবে নিশ্চিত আর তুমি যা ভেবেছিলে তা আজও আমার অজানা তোমার ভাবনাগুলো নিয়ে মনে মনে সাজায় আর বিচরণ করি দূর নক্ষত্রে, সিক্ত হই ভালবাসায় এগুলো তো আমার কল্পনায় তোমার ভাবনাগুলো !! তাহলে তোম...

wbg©g cÖwZ‡kva ‡Zvgvq hw` ¶gv Kwi Avwg wek¦vm, cÖK…wZ Avgvq Qvo‡e bv KL‡bv ZvQvov ‡MvUv cyi“l RvwZi Kjw¼Z Aa¨v‡qi Aciv‡Rq wkíx n‡Z PvB bv ¶gvi A‡hvM¨ AcivaI †g‡b †bIqv hvq ‡Zvgvi¸‡jv bq eywS‡qwQ gb‡K A‡bK Ac~e© ¶gvi mvM‡i †f‡mwQ-Wy‡ewQ A‡bK gb Avgvi †Zvgvi c‡¶ mvq †`q bv Avi N„Yv¸‡jv †Pv‡L-gy‡L eRªcv‡Zi SjKvwbi g‡Zv ‡¶v‡fi Av¸b †Ljv K‡i cÖwZwbqZ cÖwZ‡kva wb‡Z B‡”Q K‡i, Pig cÖwZ‡kva fvjevmv‡K Mjv wU‡c nZ¨v KivUv †Zvgvi †bkv mgy`ª Zx‡i evwj wb‡q †Ljv wb‡R‡K VwK‡q, fvjevmv‡K VwK‡q wK Ag„Z cvI Zzwg! A_P wPšÍv K‡i †`L KZUzKz mva mwÂZ n‡q‡Q †Zvgvi Rxe‡b? ‡Xi e‡j w`‡Z cvwi AKc‡U k~b¨UzKzI †Zvgvi Rxe‡b Ac~Y© K‡ói ZxeªZv, R¡vjvgqx Rxeb, AÜKvi †Zvgvi A‡c¶vq Awfkß n‡e †Zvgvi Kvw•LZ ¯^cœ Avi fwel¨Z GKmgq fveZvg, ZzwgB Avgvi Rxeb Avi Avg„Zz¨ ¯^cœ Zzwgnxb †eu‡P _vKvUv †ngj‡Ki i‡m giY A_P †Zvgvq Qvov w`we¨ P‡jwQ Avwg c_nxb c‡_-eÜzi c‡_ Zzwgnxb gi‡Yi Icv‡ii Avwg GLb ïayB `~‡ii gvbyl fvjevmvi AvZ©bv` ¯úk© K‡i bv Avi, ARvbv †N...